বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তথ্যগত ক্রুটি ও সমর্থকদের স্বাক্ষরের গরমিল পাওয়ায় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন। রোববার দুপুরে যাচাই বাছাইকালে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

হিরো আলমের দুটি আসনেরই মনোনয়ন বাতিল করায় হিরো আলম জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। হিরো আলম বলেন, একই কারণে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছিলাম।

আমি আপিল করবো এবং আশা করছি আমার প্রার্থীতা দু’আসনেই ফিরে পাবো। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে যাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে তাঁরা হলেন-হিরো আলম,অ্যাভোকেট ইলিয়াস আলী, শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রশিদ লালু, নন্দীগ্রাম সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌরমেয়র কামরুল হাসান জুয়েল ও তাজ উদ্দিন।

এদের মধ্যে তাজউদ্দিন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। অন্যরা সকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট ভোটারের মধ্য থেকে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন ও স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকায় গরমিল পাওয়া যায়।

এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজউদ্দিন মনোনয়নপত্রে নিজের স্বাক্ষর করেননি এবং তার প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর নেই। বগুড়া-৬ (সদর) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- হিরো আলম, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান ওরফে ফেম মান্নান, মোটর শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, সাবেক বিএনপি নেতা সরকার বাদল ও রাকিব হাসান এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মুনসুর রহমান।

এ আসনেও ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয় সমর্থকদের স্বাক্ষর করা তালিকায় গরমিল পাওয়া য়ায়। জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ৯, ১০ ও ১২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করার পর নির্বাচন কমিশননের নিকট মনপূত হলে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ আছে।